বিমানঘাঁটিতে দুষ্কৃতী হামলার জেরে কক্সবাজারে মৃত্যু হলো ১ জনের

Share

ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ আজ বাংলাদেশের কক্সবাজারের একটি বিমানঘাঁটির পাশের সমিতি পাড়ায় একদল দুষ্কৃতী হামলা চালানোর জেরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কয়েক জন আহত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে হামলার কথা জানিয়েছে। মৃতের নাম ব্যবসায়ী শিহাব কবীর নাহিদ। বয়স ৩০ বছর।

সূত্রের খবর, এদিন হেলমেট না পরা নিয়ে স্থানীয় এক জন যুবকের সাথে বিমানঘাঁটিতে কর্তব্যরত জওয়ান ও আধিকারিকদের গন্ডগোল হয়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই যুবকের পরিবারের সদস্য এবং পরিচিতরা বায়ুসেনার নির্মীয়মাণ ঘাঁটিতে চড়াও হয়ে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। তারপর নিরাপত্তা বাহিনী বিমানঘাঁটিতে চড়াও হওয়া মানুষজনকে সরাতে পাল্টা ধাওয়া করে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। এর ফলে শিহাব গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজারের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


তারপরই বিক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা লাঠিসোঁটা নিয়ে ফের বিমানঘাঁটিতে চড়াও হন। এরপর পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিড় ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু এই ঘটনায় কারা জড়িত, এখনো সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আপাতত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের বিমানবাহিনী এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মহম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, “দুষ্কৃতীরা কি কারণে হামলা চালালো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যারা এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত, তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।


অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার পরই বিমানঘাঁটি ও তার সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন করে যাতে ওই এলাকায় যাতে কোনো অশান্তি না ছড়ায়, সেদিকেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন নজর রেখেছে।” গত কয়েক বছর ধরেই কক্সবাজারের এই বিমানঘাঁটি নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীদের উচ্ছেদ করা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হলেও তা নিয়ে এলাকাবাসীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। আর গত জানুয়ারী মাসেই এই উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে কক্সবাজারে পথ অবরোধও হয়।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031