অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল গল্ফগ্রীনের একটি ভ্যাটের আবর্জনার স্তূপ থেকে মহিলার রক্তাক্ত কাটা মুণ্ড উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে। সাফাইকর্মীরাই কাজে এসে এই ভয়ানক দৃশ্য দেখতেই পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সিট (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) গঠন করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে রাতেই পুলিশ ওই মহিলার পরিচয় জানে। আর ভোরবেলাই আতিকুর লস্কর নামে এক জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ও টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করেই পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত করে। শুক্রবার ভোর রাত থেকেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে আতিকুরের গতিবিধির প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত শুরু করার পরই অভিযুক্তকে ধরতে আশপাশের পুলিশ জেলা এবং কমিশনারেটের কাছে ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডায়মন্ড হারবার পুলিশও ওই ছবি দেখে খোঁজ শুরু করে। আর মোবাইল নম্বরও সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে, কলকাতা পুলিশ টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে জেনেছে, ভোর রাতে আতিকুর গল্ফ ক্লাব এলাকায় ছিলেন। এরপর অভিযান শুরু হতেই রাতেরবেলা সে কলকাতা পুলিশের জালে আটকে যায়। পুলিশ জানায়, “আতিকুর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের বাসকভাঙা পঞ্চগ্রামের বাসিন্দা। আর মৃতা মহিলা মুড়াগাছা কালীতলা পারুল গ্রামের বাসিন্দা খাদিজ বিবি। খাদিজার মগরাহাটের রাধানগর গ্রামে বিয়ে হয়েছিল।” অর্থাৎ আতিকুর খাদিজার শ্বশুরবাড়ির এলাকারই বাসিন্দা।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই মহিলাকে প্রেমঘটিত টানাপোড়েনের জেরে খুন করা হয়ে হয়েছে। আপাতত খুনের বিষয়ে আতিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া খাদিজার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি গল্ফক্লাবের পিছনে মাথা উদ্ধার হলেও দেহের বাকি অংশ কোথায় তার সন্ধানে তল্লাশিও চলছে।