অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৫ বছর বয়সী এক প্রৌঢ় শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সকালবেলা শৌচাগারে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আচমকা বিকট শব্দ শুনে কর্তব্যরত নার্স ও কর্মীরা শৌচাগারে গিয়ে দেখেন ওই প্রৌঢ় শৌচাগারে নেই। জানলার কাচও ভাঙা।
ততক্ষণে ওই ভবনের বাইরে থাকা লোকজনও বিকট শব্দে চমকে উঠে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন, চারতলার কার্নিসের কাছে এসির বাইরের অংশের মাঝখানের ফাঁকে এক জন আটকে রয়েছেন। হাসপাতালের আধিকারিকেরাও এই ঘটনার কথা শুনে ছুটে আসেন।
দমকল বিভাগও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন নিয়ে এসে ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করার পরে জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মারা যান। কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “ওই প্রৌঢ় জানলা দিয়ে বেরিয়ে জলের পাইপ বেয়ে নীচে নামার চেষ্টা করতে গিয়েই পড়ে যান।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ওই প্রৌঢ় কল্যাণীর বাসিন্দা পঞ্চানন হালদার। গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারী থেকে আর জি করের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিজের শারীরিক সমস্যার জন্য মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। হয়তো এই মানসিক অবসাদ থেকেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। তবে পুলিশ গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।