নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে এক জন রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মৃতের নাম গুরুপদ পাত্র। বয়স ৩০ বছর। বাড়ি নন্দীগ্রাম থানারই পারুবাড়ি গ্রামে বাড়ি হলেও হলদিয়ার ক্ষুদিরাম কলোনীতে থাকত।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার পেশায় রাজমিস্ত্রি গুরুপদকে এলাকাবাসীরা শ্বশুরবাড়ির এলাকা নন্দীগ্রামের দীনবন্ধুপুরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার ভোররাতেরবেলা হাসপাতালের চারতলায় ভর্তি গুরুপদর রক্তাক্ত দেহ হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সম্ভবত চারতলা থেকে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেহ উদ্ধার করার পর মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। তবে পড়ে গিয়ে নাকি অন্যভাবে মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এমন ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ‘‘সম্প্রতি হাসপাতালের দুরবস্থা দূর করতে আগের সুপারকে বদলি করে নতুন সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও যে হাল ফেরেনি এটাই তার প্রমাণ। হাসপাতালের একাংশ কর্মচারীর গাফিলতি রয়েছে। রোগীর এভাবে মৃত্যু হাসপাতালে নজরদারির অভাবই সামনে এনে দিয়েছে। ওয়ার্ড বয় ও নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও এটা ঘটে কিভাবে?’’
হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার পবিত্র হালদার জানান, ‘‘এটা দুঃখজনক মৃত্যু। কর্তব্যরত নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শোকজ করা হচ্ছে। কর্তব্যে গাফিলতি প্রমাণ হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুলিশ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছেন।