নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মালদার হবিবপুরের নিরোইল গ্রাম সাক্ষী থাকলো এক ভয়ঙ্কর দৃশ্যের। যেখানে এক মহিলার দেহ বাড়ির উঠোনে পড়ে আছে। আর কাটা মাথা উঠোনের এক কোণে পড়ে আছে। শোওয়ার ঘরের বিছানাতেও রক্ত রয়েছে। এই নৃশংস ঘটনায় এলাকা জুড়ে তুমুল উত্তেজনা তৈরী হয়।
জানা গেছে, নিহত মহিলা ২৮ বছর বয়সী সাবিত্রী রায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার করদহ দিঘি গ্রামের বাসিন্দা স্বামী বচন টুডু শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু খুব নেশা করতেন। দু’বছর আগে বিয়ে হওয়ার পর থেকে হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরোইল গ্রামে সাবিত্রীর সাথে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। দম্পতির কোনো সন্তান নেই।
সাবিত্রীর মা-বাবা মারা গিয়েছেন। দাদা-বৌদি অন্যত্র থাকেন। এদিকে সাবিত্রীকে এই অবস্থায় দেখার পর বচনকে গ্রামবাসীরা বাড়িতে আটকে রেখে পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাবিত্রীর দেহ ও মাথা সহ ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করেছেন।
এরপর দেহটি উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ বচনকে জেলা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, “পারিবারিক কারণে খুন না অন্য কোনো কারণে খুন করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃত বচনকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হবে।”