নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেব ডাঙা গ্রাম এক নির্মম ঘটনার সাক্ষী থাকলো। বেশ অনেকক্ষণ ধরে নিখোঁজ থাকা ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পিঁপড়ের চাক থেকে উদ্ধার করা হয়। ততক্ষণে শিশুর সারা শরীরের পিঁপড়ের কামড়ে ক্ষত তৈরী হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে ওই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে সে বাড়িতে একাই ছিল। তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যায় তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে, ছেলেকে দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তাঁদের দাবি, গ্রামের এক পাশে একটি পিঁপড়ের চাকের উপর হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল ছেলে। ওই শিশুর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে ইয়ার্কি মারার জন্যই তাকে এইভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ইসমাইল ধাবক নামে স্থানীয় এক যুবক তার সঙ্গে এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ইসমাইলের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিলেন বলে ওই শিশুর দাবি।
আর তার সঙ্গে যখন এই নির্মম অত্যাচার চলছিল, তখন গ্রামের বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। বাড়িতে যাতে মুখ না খোলে, তার জন্য বাচ্চাটিকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীদের দাবী, অভিযুক্ত এলাকায় দাপুটে বলেই পরিচিত। আক্রান্ত শিশুর মা যখন থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন, তখনও হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বাচ্চার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশুর পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ইসমাইল এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। এখনও অভিযুক্ত অধরা। শান্তিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।