পাচার করতে গিয়ে উদ্ধার ১ টি হাতি

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ রাতের অন্ধকারে আসাম থেকে গুজরাতে একটি হাতি পাচার করা হচ্ছিল। আর বাংলার বনদপ্তরের আধিকারিকেরা সেই খবর পেয়ে মাঝ পথেই তা আটকে দিলো। সেই সঙ্গে তিন জনকে আটক করা হলো। কিন্তু সেই আটকদের মধ্যে এক জন নিজেকে হাতির মালিক হিসাবে পরিচয় দিলেও তার পেশ করা কাগজপত্র নিয়ে সংশয় রয়েছে।

সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বন দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খবর এসেছিল উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে লরিতে করে নাগাল্যান্ডে হাতি পাচার করা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতেই বনদপ্তরের আধিকারিকরা জলপাইগুড়ির তিস্তা সেতুর কাছে চেকপোস্টের কাছে একটি দল নিয়ে নাকা চেকিং শুরু করেন।


এরপর বনদপ্তরের কর্মীরা নির্দিষ্ট নম্বরের লরি আসতেই তা আটক করে লরিতে তল্লাশি চালালে মা ও শাবককে উদ্ধার হয়। তবে সেই লরিতে থাকা একজন নিজেকে ওই দুটি হাতির মালিক বলে দাবী করেন। কিন্তু তার পেশ করা কাগজপত্র নিয়ে বনদপ্তরের আধিকারিকেদের সন্দেহ লাগে।


বনদপ্তরের আধিকারিকদের দাবী, “সরকারী অনুমতি সাপেক্ষে ওই হাতি দুটিকে অরুণাচল প্রদেশ থেকে গুজরাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে বনদপ্তরের আধিকারিকেদের সেই কাগজ দেখে খটকা লাগে। তারপরে লরি, হাতি, হাতির মাহুত, লরির চালক এবং হাতি দুটির মালিক বলে দাবী করে লোকটিকে আটক করে”।


বনদপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, সরকারী অনুমতিপত্র বলে যা দাখিল করা হচ্ছে তা আদতে ভুয়ো। এখন বর্তমানে হাতি দুটিকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পিলখানায় রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় বনবিভাগের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের এডিএফও রাহুল মুখার্জী বলেছেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল দুটি হাতিকে অবৈধ ভাবে পাচার করা হচ্ছে। আমরা খবর পেয়ে তিস্তা চেকপোস্টে নাকা চেকিং করে দুটি লরিকে আটকে তার থেকে হাতি দুটিকে উদ্ধার করি। এদের কাছে যে কাগজ ছিল আমরা তা দেখে সন্তুষ্ট নই। তাই আমরা এদের আটক করেছি”।

যদিও হাতি দুটির মালিক তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “তার কাছে বৈধ কাগজ আছে। এর আগে আসামের বনদপ্তরে আটকে ছিল। পরে কাগজপত্র দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930