নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠলো দেবাশিস দেবনাথ নামে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এক জন হোমগার্ড ও রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশ দেবাশিসবাবু এবং সুশান্তবাবুকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছেন।
জানা গেছে, দেবাশিসবাবু বিভাগীয় কমিশনারের বাংলোয় কর্মরত ছিলেন। বাড়ি ময়নাগুড়ির পানবাড়িতে ও শ্বশুরবাড়ি কোচবিহারের ঘোষকাডাঙা এলাকায়। দেবাশিসবাবু ওই ঘোষকাডাঙা এলাকায় নিজেকে প্রভাবশালী বলে পরিচয় দিয়ে পুলিশে চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা তোলেন। অতি সম্প্রতি কয়েক জন যুবক কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, আড়াই বছর ধরে দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। যে যুবকেরা টাকা দিয়েছিল তারা চাকরীর জন্য অপেক্ষা শুরু করতে থাকে কিন্তু সরকারী তরফে সাড়াশব্দ না পেয়ে দেবাশিসবাবুর বাড়িতে গেলে জানানো হয়, পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে টাকা পাঠানো হয়েছে তা ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।
ফালাকাটার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘‘ওই হোমগার্ড একাধিক যুবকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন জানতে পেরে বিভাগীয় কমিশনার সহ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’
গতকাল পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগকারীদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে কোন কোন মাধ্যমে টাকা দিয়েছিলেন। এদিন দেবাশিসবাবুর স্ত্রী জানান, ‘‘স্বামীর এই সব ব্যাপারে কিছু জানেন না। কিছু দিন ধরে বাড়িও আসছেন না। তবে বাড়িতে বেশকিছু লোকজন আসা-যাওয়ায় করায় সন্দেহ হয়েছিল যে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে।’’
চাকরী দেওয়ার প্ররোচনা দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে পুলিশ দেবাশিসবাবু এবং সুশান্তবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি এই টাকা তোলার ঘটনার নেপথ্যে কোনো চক্র কাজ করছে কি না তা জানার চেষ্টা করছেন।