নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজস্থানঃ রাজস্থানের জালোর জেলায় রানিওয়াড়া এলাকার রোড়া গ্রামে এবার জলের অভাবে মারা গেল ৫ বছর বয়সী এক শিশু। শিশুটির ঠাকুমাও পাশে বেহুঁশ অবস্থায় পড়েছিল।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, সেদিন দুপুরে তাপমাত্রা প্রায় ৪৫ ডিগ্রী ছিল। ওই চড়া রোদে প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে ঠাকুমা সুখীদেবী নাতনী অঞ্জলিকে নিয়ে রায়পুর থেকে রানিওয়াড়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আসছিলেন। যেহেতু করোনার জেরে সমস্ত যানবাহন বন্ধ ছিল।
অঞ্জলি নির্জন ফাঁকা রাস্তায় একটুও জল না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সুখীদেবীও অচৈতন্য অবস্থায় পাশে পড়েছিলেন। এই ঘটনার অনেক পরে স্থানীয়দের নজরে বিষয়টি আসে। আর যতক্ষণে স্থানীয়দের নজরে বিষয়টি আসে ততক্ষণে শিশুটি মারা যায়।
এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সুখীদেবীকে অচৈতন্য অবস্থা থেকে জল খাইয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর অঞ্জলির দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও উঠে আসে যে অঞ্জলির জলের অভাবে মৃত্যু হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে জানান। তাছাড়া গেহলট সরকার ও সোনিয়া গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করে জানান, “এখন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী সহ রাজস্থান সরকার একেবারে চুপ কেন?”
এই মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এর সাথে সাথে গোটা রাজ্যবাসীকে বেদনাদায়ক একটি ঘটনার সাক্ষী করে গেছে।