নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ আজ নদীয়ার চাকদহ থানা এলাকার বারো নম্বর শিমুরালি জাতীয় সড়কে থেকে ১ জন ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মৃতের নাম নাজির শেখ। বাড়ি চাকদহ থানা এলাকায়। বয়স ৪৫ বছর। পেশায় মুদিখানার ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকালবেলা নাজিরবাবু এক জন মোটরভ্যানের চালকের সাথে ব্যবসার কিছু মালপত্রের জন্য কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোনোর কয়েক মিনিট পর ওই চালক নাজিরবাবুর বাড়িতে ফোন করে জানান, “ভ্যানের সাথে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়েছে।” এরপর নাজিরবাবুর পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান।
তারপর মৃতদেহ কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নাজিরবাবুর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। কিন্তু নাজিরবাবুর ভাই আব্দুল শেখ জানান, ‘‘পুলিশ দুর্ঘটনা বলছে। তবে ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরভ্যানটি কোথায়? লরি ও মোটরভ্যানের সংঘর্ষের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর সংঘর্ষ হলে তো চালকও আহত হতেন। কিন্তু তিনি নিখোঁজ আর ফোনও বন্ধ।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
স্ত্রী মরিয়ম বেগমের প্রশ্ন, ‘‘আমার স্বামীর গলায় আঁচড়ের দাগ। এটা কি দুর্ঘটনার চিহ্ন? না কি ওকে খুন করে সড়কে ফেলা হয়েছে?’’ তবে পুলিশ স্বীকার করেছে, ‘‘ওই ভ্যানচালকের অনুপস্থিতি এবং দুর্ঘটনার চিহ্ন না পাওয়া রহস্য বাড়াচ্ছে।’’ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সমীরণ মণ্ডল দাবী করেছেন, ‘‘পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দ্রুত তদন্ত শেষ করুক। যদিও নাজিরবাবুর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পরে খুনের মামলা রুজু করেছেন।