মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ গতকাল উত্তর চব্বিশ পরগণার পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম এলাকার একটি পার্কের কাজের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় চার জন দুষ্কৃতী মোটর বাইকে করে পিছন পিছন আসে। আর মুহূর্তের মধ্যেই ওই দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জন নেমে অনুপমবাবুর মাথায় লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়।
এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর সেখানেই মৃত্যু হয়।
ওই খুনের ঘটনায় পুলিশ নদীয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা শম্ভুনাথ পণ্ডিত নামে এক জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শম্ভুনাথ কাউন্সিলরকে খুনের পর তেঁতুলতলা এলাকার হোগলা বনে লুকিয়ে ছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা ঝোপের মধ্যে কাউকে নড়াচড়া করতে দেখে সন্দেহবশত প্রতিবেশী ও পাশের ক্লাবের ছেলেদের ডেকে বিষয়টি জানান।
তারপর এলাকাবাসীরা ওই হোগলা বন ঘিরে ফেলে পুলিশের কাছে খবর দেন। এরপর এলাকাবাসীরা হোগলা বনে আগুন লাগিয়ে দেন। তখন অভিযুক্ত সেই ঝোপ থেকে বেরিয়ে পালাতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ শম্ভুনাথ ধরে খড়দহ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শম্ভুনাথ সুপারি কিলার। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে যে পোশাকে দেখা গিয়েছিল পরে সেই পোশাক বদলেও নিয়েছিলেন। পুলিশী জেরায় জানা যাচ্ছে যে, শম্ভুনাথকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে খুনের সুপারি দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি শম্ভুনাথের সঙ্গে কারা জড়িত ছিলেন তা জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে।