মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগনাঃ করোনা আবহে স্যানিটাইজারের ব্যবহার তুঙ্গে। তাই দু’বছর ধরে স্যানিটাইজারের বাজারও যথেষ্ট চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ফলে স্যানিটাইজারের ব্যবসার সুযোগ নিয়ে জাল স্যানিটাইজার কারখানাও গড়ে উঠেছে।
আর এবার রাজারহাটের রেকজোয়ানী এলাকায় একটি জাল স্যানিটাইজার কারখানার সন্ধান পাওয়া গেলো। এই ঘটনায় জড়িত তাপস মিত্র নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলঘরিয়ার বাসিন্দা তাপস ওই এলাকায় দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই জাল স্যানিটাইজারের তৈরির কারখানা তৈরী করেছিলেন। জাল স্যানিটাইজারের বোতলে নামী সংস্থার লেবেল লাগিয়ে লক্ষাধিক টাকার ব্যবসা চালানো হতো।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল ও ইবির আধিকারিকরা রেকজোয়ানী এলাকায় হানা দিয়ে তাপসকে আটক করার পাশাপাশি স্যানিটাইজার তৈরীর সরঞ্জাম এবং বেশ কিছু কেমিক্যালস সহ প্রায় ৩০ হাজার লিটার জাল স্যানিটাইজার উদ্ধার করে। এতদিন এখানে ডক্টর প্লাস সংস্থার নামে জাল স্যানিটাইজার তৈরী করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোল ও ইবির আধিকারিকরা এই দু’টি বাড়িকে সিল করে দিয়েছে।
এই মুহূর্তে ধৃতকে রাজারহাট থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জাল স্যানিটাইজার কারখানার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এইভাবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জাল স্যানিটাইজার কারখানা কীভাবে তৈরী হলো না নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি এলাকাবাসীদের দাবী, “পুলিশ আসার পরেই জাল স্যানিটাইজার কারখানা সম্পর্কে জানা গেছে। এর আগে জাল স্যানিটাইজার কারখানার বিষয়টি নিয়ে কোনো সন্দেহ জনিত ঘটনা সামনে আসেনি”।