নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়িঃ আজ শিলিগুড়ি সংলগ্ন ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি সাতাশ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বাকুলাইন এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় ফের একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, পথচলতি এক জন সবজি বিক্রেতা সড়কের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী চিতাবাঘটিকে ছটফট করতে দেখে দ্রুত পুলিশের কাছে খবর দেন। ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এছাড়া ঘোষপুকুর বন বিভাগেও খবর দেওয়া হলে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিতাবাঘটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করলেও সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মৃত চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বন দপ্তরের অনুমান, গাড়ির ধাক্কাতেই চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হলেই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। গাড়ির ধাক্কায় এভাবে চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনায় বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকের আবার গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
যদিও কার্শিয়াং বন বিভাগের ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় একটি স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় ও মূল সড়কে গাড়ির গতিবেগ নির্ধারিত করে দেওয়া রয়েছে। এমনকি সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় চালকদের সতর্কও থাকতে বলা হয়। এরপরেও এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। বন দপ্তর কিন্তু গাড়ি চালকদের সচেতন করে থাকে।’’