মহিদুলের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত মহানগরী

Share

চয়ন রায় : কলকাতাঃ গত শুক্রবার বাম কর্মী-সমর্থকরা সহ বাম ছাত্র যুব সংগঠনগুলি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরী সহ একাধিক দাবী নিয়ে নবান্ন অভিযান করে। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে বাম যুব কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এর জেরে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে জলকামান সহ কাদানে সেল ছোঁড়ে। এর ফলে পুলিশের অাঘাতে অনেক বামপন্থীরা আহত হন। আর তাদের মধ্যে কোতুলপুরের মহিদুল হক গুরুতর আহত হন। এরপরই তাকে সিপিআইএমের নেতা ফুয়াদ হালিমের নার্সিং হোমে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতির জন্য তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানেই আজ তার মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।

চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, পুলিশের লাঠির আঘাতে মহিদুলের পেশি ফেটে যায়। তারফলে সেখান থেকে প্রোটিন বেরিয়ে কিডনি ব্লক হয়ে যায়। এরসাথেই সোডিয়াম নেমে যায় ও পটাশিয়াম বেড়ে যায়। আর ফুসফুসে জল জমে গিয়ে আজ তার মৃত্যু হয়েছে।


মহিদুল হকের মৃত্যুর প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে কলকাতায় ডিজিএফআই’র অফিসের সামনে বাম কর্মীরা জড়ো হন। সকাল থেকেই তালতলা থানা এলাকায় পারদ চড়তে থাকে। এরপর বিকেলের দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বাম কর্মীরা কটুক্তি শুরু করে বলে অভিযোগও ওঠে। একটা সময়ে বাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয় এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বাম কর্মীরা জড়িয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময় বামপন্থী কর্মীসমর্থকরা পুলিশকে মারধর পর্যন্ত করে। বিউফাই রাজ্য সদরদপ্তরের কাছে তারা পুলিশের পেছনে তাড়াও করে বলে লালবাজারে অভিযোগ ওঠে।


সুজন চক্রবর্তীর মত সিপিএম নেতারা বাম কর্মী সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। জিও ফাই কর্মীরাও মানব শৃঙ্খল করে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাতেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। ডিওয়াইএফঅাই কর্মী মহিদুল হকের মৃত্যুতে ডিওয়াইএফঅাই এসএফঅাই কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে মৌলালি, পুলিশ মর্গে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ানোর সাথে সাথে শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ শুরু হয়। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষদের।


TAGS:

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930