বীরভূমঃ বীরভূমের লাভপুর ব্লকের ঠিবা অঞ্চলের দত্তবগতোর গ্রামে আজিজা খাতুনের বাড়িতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনার প্রতিবাদের জেরে এলাকায় এক বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চা।
তরুণ নেত্রী আজিজা খাতুনকে বিজেপির মহিলা মোর্চা লাভপুর বি মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি দায়িত্ব পেয়ে এলাকায় সংখ্যালঘু মানুষদের মধ্যে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। যারফলে তিনি তৃণমূলের চক্ষুশূল হন বলে দাবি আজিজার। আর সেই আক্রোশ থেকেই বুধবার রাতে দুষ্কৃতীরা তার বাড়িকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির মতো বোমা ছোঁড়ে। এমনকি বোমাবাজির আগে এলাকায় তারা বিদ্যুৎ সংযোজনও বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে অন্ধকারে কাউকে চিনতে পারা যায়নি বলে দাবি বিজেপি নেত্রীর।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতিনি জানিয়েছেন, “তিনি জীবন দেবেন তবু বিজেপি ছাড়বেন না। সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য”। আর তাছাড়া গ্রামে তাদের কোন শত্রু নেই কোনো পরিবারের সঙ্গে বিরোধও নেই। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়িতে বোমাবাজি করল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তবে এই ঘটনায় তাঁর জেদ আর বেরে গেলো”।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “যত দিন যাচ্ছে তৃণমূলের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। তাই এখন তাদের বেচেঁ থাকার অস্ত্র সন্ত্রাস। তবে এবার মানুষ সেই সন্ত্রাসের অবসান করবে। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
লাভপুর বি মণ্ডল সভাপতি সুবীর কুমার মণ্ডল্ বলেছেন, “পরিকল্পিতভাবে তাদের নেত্রীকে ভয় দেখাতে বোমাবাজি করেছে তৃণমূল। ওরা এখন আর রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না তাই এভাবে চোরের মতো সন্ত্রাস চালাচ্ছে”।
বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী অনুরাধা ঘোষ বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে বিষয়টি লাভপুর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরাই রাজনৈতিকভাবে এই সন্ত্রাসের মোকাবিলা করবে। আর এক্ষেত্রে বন্ধু আর বোমাবাজিতে নয়, তাঁদের অস্ত্র হবে জনগণ”।