অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেও র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠলো। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন আবাসিক তথা বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের ছাত্র বিশ্বজিৎ হাজরা আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে গিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বজিৎ হস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসন সকলকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর পর পুলিশ এই অভিযোগ নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে।
বিশ্বজিৎ জানিয়েছে, ‘‘২০১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ভর্তি হয়েছিল। আর তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকছিল। তবে প্রথম থেকেই হস্টেলে নানা অত্যাচার সহ্য করে এসেছে।’’ জানা গিয়েছে, হস্টেলের ঘরে সিনিয়রেরা ইন্ট্রোর নামে সারারাত আটকে রাখত। মদ কেনানো হত। অকথ্য গালিগালাজও করা হত। যৌন চাহিদার বিষয়েও প্রশ্ন করা হত। এছাড়া সিনিয়রেরা ঘরে প্রস্রাব করে দিত। বোমা ফাটিয়ে ঘর ধোঁয়ার ভরিয়ে দেওয়া হত।
ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে দেওয়া হত। এমনকি খাবার পরিকল্পনামাফিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত ছ’মাসে র্যাগিংয়ের পরিমাণ আরো বেড়ে গিয়েছে। আর সে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় বৈষম্যমূলক আচরণ করা হত। সম্প্রতি বিশ্বজিৎকে হস্টেল থেকে উঠে যেতে বলা হয়েছে। খোদ রেজিস্ট্রারের নির্দেশেই হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষী বিশ্বজিৎকে হস্টেল থেকে বার করে দিতে চাইছেন। পাশাপাশি খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে চলতি বছর তার কোর্স শেষ হয়েছে।