নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। এক ইঞ্চিও কেউ কাউকে জমি ছাড়বে না। কথা হচ্ছে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে। শনিবার দুপুরে সুকান্ত শ্রীরামপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে যখন বলেছেন, “কল্যাণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে আমি কর্মীদের বলে দিচ্ছি ভাল করে খেলুন।” সন্ধেয় তখন হাওড়ায় দাঁড়িয়ে কল্যাণ আবার তখন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ‘বাপ’ তুলে কথা বলছেন। এর আগে সুকান্তকে ‘তুই-তুকারি’ করে কথা বলেছিলেন কল্যাণ। আর এবার একদম ‘বাপ’ তুলে হুমকি।
হাওড়ার জগতবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান ছিল। সেইখান থেকে ফের একবার সুকান্তকে হুমকি দিয়ে কল্যাণ বলেন, “সুকান্ত কিছু না বলে দুপুর একটার সময় খুঁজতে গিয়েছে কোথায় কল্যাণ কোথায়? আমি এখানে। আয় সুকান্ত আয়। এখানে যা লোক আছে তাঁদের পায়ের তলায় পড়ে তোর প্রাণ চলে যাবে।” এই বলেই কিন্তু ক্ষান্ত হননি। লাগামছাড়া পাল্টা আক্রমণ করেছেন তিনি।
আজ দুপুরে সুকান্ত বলেছিলেন,”আমাদের খেলতে ডাকলে আমরা খেলব। আমি খেলতে খুব ভালবাসি। কল্যাণদা কী খেলতে চায় সেটাই খেলব। চ্যালেঞ্জ আমি আগেই গ্রহণ করেছি। আমি তো শ্রীরামপুরেই দাঁড়িয়ে আছি। যে চ্যালেঞ্জ করেছিল সে ছুঁ কিতকিত করতে করতে ফুঁস হয়ে গিয়েছে।” এর পাল্টা কল্যাণ বললেন, “আসুক ওরা…CISF-কে ছেড়ে আয়। বল কোনদিন কবে আসবি। কোনও পুলিশ থাকবে না। একদিকে বিজেপির লোক থাকবে অন্যদিকে তৃণমূলের লোক থাকবে। হিম্মত থাকলে আয়। এক বাপের বেটা হলে চ্যালেঞ্জ নে। কোন দিন কোথায় দাঁড়াবি।” সঙ্গে যোগ করলেন, “তোর বাবা নরেন্দ্র মোদী আর কাকা অমিত শাহ এসেছিলেন। আমার ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছি। ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটে হারিয়েছি।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
SIR ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ‘লন্ডভন্ড’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সুকান্ত মজুমদার সাবিনাকে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা বলেন। একই সঙ্গে সাধারণ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে সুকান্তকে বলতে শোনা যায়,”তৃণমূলের কথায় রাস্তায় নামবেন না, রাস্তায় নামলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে। যেমন মুর্শিদাবাদের সময় নেমেছিল। যদি দোকানঘর পোড়ান, বাড়িতে আক্রমণ করেন, তৃণমূলের কোনও নেতার ছেলের জীবন যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামলে গুলি চলবে। আপনার বাড়ির লোকেদের গুলি লাগবে।
আর তৃণমূল নেতারা AC ঘরে বসে থাকবেন।” এরপর আসরে নামেন কল্যাণ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে তুই-তুকারি করার পাশাপাশি শ্রীরামপুরে এসে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, “বেআইনি করুক না। একটা ভোটারকে বাদ দিয়ে দেখুক। স্তব্ধ করে দেব কমিশন। ওই ছোড়াটা…যেটা মন্ত্রী হয়েছে… দেখ না CISF কোথায় গুলি ছোড়ে। বালুরঘাটে ঢুকেছে, দশ হাজার ভোটে জিতেছে…এবার দেখছি আমরা। CISF দিয়ে গুলি চালাবে বলছে। অত বড় হিম্মত। বাংলার মানুষকে চিনিস না…ওই দু’চারটে সুকান্ত…হাওয়া দিয়ে উড়ে যাবে। আয় না একবার বক্তৃতা দিতে আমাদের এখানে। আয় তুই শ্রীরামপুরে। তারপর তুই ঘরে ফিরিস কীভাবে দেখব।” সেই মতো আজ শ্রীরামপুরে দুপুরে যান সুকান্ত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here