নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই মুর্শিদাবাদ জুড়ে বোমাবাজি, হানাহানি ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে শাসক এবং বিরোধী দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে রাজনৈতিক হিংসার বলি হন তৃণমূলের কর্মী বাবর আলি (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায়। শুক্রবার রাতে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন বাবর এবং ফুলচাঁদ শেখ। তখনই দুষ্কৃতী এসে দু’জনকে বেধড়ক মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা বাবরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাশাপাশি রানিনগরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন। এর পর বেশ কিছু ক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। সেই এলাকায় একাধিক বুথ থেকে সিপিএমের এজেন্টদের বার করে দেওয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে। রানিনগরের হূর্সি অঞ্চলে এক সিপিএম কর্মীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএ ছাড়াও ডোমকল ব্লকের গড়াইমারি অঞ্চলে সিপিএম এজেন্টদের বুথের ভেতর ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ডোমকলের কুশিবাড়িয়ায় দুই তৃণমূল কর্মী এবং এক জন কংগ্রেস কর্মীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ইসলামপুরেও দু’জন তৃণমূল কর্মীর গুলিবদ্ধ হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁরা দু’জনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।