নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে এক জন নাবালিকা শ্লীলতাহানিতে বাধা দেওয়ায় চার যুবক মিলে জোর করে স্যানিটাইজার খাইয়ে দেয়। আর নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময় মঠ লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ২১ বছরের উদেশ রাঠৌর নামে এক জন যুবক সহ আরো তিন জন যুবক ওই ছাত্রীকে ঘিরে অত্যাচার শুরু করে। এরপর সে প্রাণপণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই জোর করে স্যানিটাইজার খাইয়ে দেওয়া হয়।
সেই সময় ওই ছাত্রীর ভাই উপস্থিত হলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ওই ছাত্রী স্যানিটাইজার খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে নিকটবর্তী একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে ওই ছাত্রীকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সন্ধ্যাবেলা ময়নাতদন্তের পর ওই ছাত্রীর পরিবার দেহ রাস্তায় রেখে প্রতিবাদ দেখায়। পাশাপাশি অভিযোগ তোলেন যে, পুলিশ সক্রিয় হলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
পরে আড়াই ঘণ্টা পর বরেলি থানার পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ নাবালিকার পরিবারকে আশ্বস্ত করে যে, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। ফলে অভিযুক্ত উদেশ সহ চার জন যুবককে গ্রেফতার করতে পৃথক চারটি দল তৈরী করে তদন্তে নেমেছেন।