অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর বড়ো সিদ্ধান্ত মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে শহরের বিভিন্ন ছাদের উপর তৈরী হওয়া সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বরো ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরী করে প্রতিটি রেস্তোরাঁতে নির্দেশ যাচ্ছে। পুরসভার তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রেস্তোরাঁর জন্য ছাদ বিক্রি করা যাবে না।
ফিরহাদ হাকিম জানান, “নীচের জায়গা যেমন কেউ বিক্রি করতে পারেন না, তেমনি ছাদও বিক্রি করা যায় না। রুফটপ খোলা থাকবে। যা রেস্টুরেন্ট হয়েছে, বন্ধ করতে হবে। কারণ নীচে আগুন লাগলে, মানুষ যাতে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন।” প্রসঙ্গত, বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের জেরে যে পনেরো জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তাতে প্রথম থেকেই এই হোটেলের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, “আগুন লাগার পর হোটেল থেকে কোনো অতিথি বেরোতেই পারেননি। নব্বই শতাংশ দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
দিঘা থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি ঘটনাস্থলে যান। আর সেখানে বড়বাজার ও জোড়াসাঁকোর এলাকার একাধিক হোটেল, মার্কেট, ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, “নিয়ম থাকলেও, অনেক ব্যবসায়ী তা মানেন না।” এরপর ম্যাগমা মার্কেটে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে দেখতে পান, সেখানে পর পর চব্বিশ গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দমকল, পুরসভা এবং পুলিশ কমিশনার একসাথে বৈঠকে বসেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বৈঠকের পর মেয়র রুফ টপের রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত, আগুন লাগলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ছাদে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন। কারণ অনেক সময়ই এমার্জেন্সি গেট বন্ধ থাকছে। অতএব, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শহরের ছাদে থাকা সব কটি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে হবে। আগে বরো ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরী করতে হবে। কোন এলাকায় কতগুলো রুফটপ রেস্তোরাঁ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here