নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চুঁচুড়াঃ বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ পাশের গ্রামের এক যুবকের ঘর থেকে উদ্ধার করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা তৈরী হয়। মৃতার নাম যমুনা মুর্মু। বয়স ৩১ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনার শ্বশুরবাড়ি পান্ডুয়ার বড়সরসা গ্রামে। ১১ বছর আগে ওই গ্রামের দীপঙ্কর টুডুর সাথে বিয়ে হয়। দু’টি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭ মাস আগে যমুনা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়ে পাশের রূপকিনি গ্রামে শিবশঙ্কর মুর্মুর বাড়িতে থাকছিলেন। কারণ যমুনার শিবশঙ্করের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু আজ তার বাড়ি থেকেই যমুনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে এই মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যমুনা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু যমুনার পরিবারের তরফ থেকে দাবী তুলে জানানো হয়েছে, যমুনাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৃতার মাসি লক্ষ্মী হাঁসদা বলেছেন, ”যমুনাকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অশান্তি হতো। শিবশঙ্কর মদ্য পান করে এসে যমুনাকে মারধর করা হতো। তবে প্রতিবাদ করার জেরেই মেরে ফেলা হয়েছে”। যদিও এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে।