নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মালদার ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলোনী এলাকায় বাড়ির মূল দরজা খুলতেই জল থৈথৈ। গত দু’মাস ধরে বাসিন্দারা কখনো হাঁটুজল তো কখনো কোমর সমান জলে যাতায়াত করছেন। অভিযোগ, “একবারও বাসিন্দারা কিভাবে রয়েছেন, এলাকার পরিস্থিতি কি তা নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী খোঁজ নেননি।
আজ হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে এলাকার মহিলাদের হুঁশিয়ারী, ‘‘বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা। প্রায় দু’মাস হয়ে গিয়েছে। এখনো অবধি জল জমে রয়েছে। আর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিজেপি বিধায়ক একবারও এলাকায় আসেননি। বিধায়ক এলাকায় ঢুকলে ঝাঁটাপেটা করা হবে।’’ এছাড়া এও জানান, ‘‘সামনেই দুর্গাপুজো। কিন্তু আমাদের এখানে আনন্দ নেই। চরম ভোগান্তিতে রয়েছি।’’ এদিকে, বিজেপির দাবী, ‘‘এগুলো পঞ্চায়েতের কাজ। আর ওখানে পঞ্চায়েত তৃণমূলই পরিচালনা করছে।’’
অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামী প্রশান্ত দাসের দাবী, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনে শেষ বার ইংরেজবাজারের বিধায়ককে দেখা পাওয়া গিয়েছিল। উনি ভোট চাইতে এলাকায় এসেছিলেন। তবে নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর আর কেউ ওঁদের দেখেননি। এখন এলাকায় হাঁটুজল জমে রয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সেই জল বার করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আর পুজোর পরেই রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। তবে এলাকার বিধায়কের কোনো দায়িত্ব থাকবে না?’’
পাশাপাশি, ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য কাজল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপি বিধায়ক এলাকায় ঢুকলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। বিধায়ককে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজে তো আমরা তাকে দেখতে পাইনি। তবে বিজেপি জমা জল নিয়েও তৃণমূল রাজনীতি করছে।’’ বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি এই প্রসঙ্গে দাবী তোলেন যে, ‘‘এলাকা জলমগ্ন হলে তা দেখা, সেখানে কাজ করা তো সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কাজ। সবই তো তৃণমূলের। এভাবে বিধায়কের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না।’’