অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর জি করের ওই নির্যাতিতার মা-বাবার সাথে দেখা করেছেন। পাশাপাশি আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি অর্থাৎ প্রবীণ সিং ও দেলীনা খোঙ্গদুপ এসে লালবাজারে গিয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার সাথে বৈঠক করেন।
ওই চিকিৎসকের মা-বাবার সাথে দেখাও করবেন। আগামীকাল আর জি কর হাসপাতালে যাবেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার আরজি করের সেমিনার রুম থেকে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গত ৭২ ঘণ্টায় এই নিয়ে চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছে। একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই নৃশংস ঘটনায় একাধিক জন জড়িত। এই অবস্থায় গতকাল জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়, এই নৃশংস ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য দেলীনা খোঙ্গদুপের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গড়ে।
এদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদ্য প্রাক্তন চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা আরজি করের ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। দিন কয়েক আগেই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে মেয়াদ শেষ হয়েছে রেখা শর্মার। আরজি করের নৃশংস ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “এটা খুবই গুরুতর বিষয়। আমি আশা করি, এরকম ঘটনা ঘটা উচিত নয়।” এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “রাজনীতির নামে অন্য দলের মহিলাদের উপর নিজের দলের গুন্ডাদের ব্যবহার করেন মমতাজি। অনেক বছর ধরেই এটা চলছে।”
রেখা শর্মার এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “আপনি যখন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ছিলেন, তখন দেখেছি পক্ষপাতিত্বকে আপনি কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে নিয়ে কখনও পদক্ষেপ করেননি। সন্দেশখালির ষড়যন্ত্রে আপনারও ভূমিকা ছিল। বাংলার মানুষ এটা ভুলে যায়নি। আপনার সময়ে মণিপুরের ঘটনা ঘটেছিল। আপনি মণিপুরের মেয়েদের পাশে দাঁড়াননি। আপনি নারী নিরাপত্তা নিয়ে বলবেন না।”