নারী বাহিনীর উদ্যোগে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক চোলাই ঠেক

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ হাওড়ার উলুবেড়িয়ার রাজাপুর থানার তুলসীবেড়িয়া গ্রামে চোলাই ঠেকের বাড়বাড়ন্ত প্রচুর। পুলিশও প্রায়ই অভিযান চালায়। কিন্তু চোলাই বিক্রি থামানো যাচ্ছে না। তাই কামিনা, খড়দহ, খানপুর, সোনামুই, কুমারচক, গোবিন্দচক সহ আটটি গ্রামের ৭০ জন মহিলা চোলাই ঠেক ভাঙতে দল বেঁধেছেন।

রাতের অন্ধকারে নজর এড়িয়ে প্রায়ই চোলাই গ্রামে ঢুকছে। ফলে সেই ব্যবস্থা আটকাতে এবার দিনেরবেলার পাশাপাশি রাতেরবেলাও প্রমীলা বাহিনী নজরদারি শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫০ লিটার চোলাই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত তিন মাসে প্রায় দেড়শো চোলাই ঠেক ভেঙেছেন।


অন্তত ৪০০ লিটার চোলাই উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলেও দিয়েছেন। প্রমীলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ‘‘কয়েক বছর আগে গ্রামে চোলাই তৈরী চলছিল। সংসারে যেটুকু সঞ্চয় থাকত বাড়ির পুরুষরা চোলাই ঠেকে গিয়ে সেই টাকা উড়িয়ে আসায় সংসারে অভাব লেগে থাকত। আর নিত্যদিন অশান্তি হত।


এমনকি চোলাইয়ের নেশায় মহিলাদের উপর মারধরও করা হত। এরই প্রতিবাদে ধীরে ধীরে গ্রামের মহিলারা এক জোট হয়ে চোলাই তৈরীর ব্যবসা বন্ধ করেন। তবে প্রতিটি পাড়ায় চোলাই ঠেক গজিয়ে উঠতে শুরু করলে ফের লড়াই শুরু হয়।


চোলাই ঠেক হলেই প্রথমে পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ না এলে মহিলারা ঠেক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। আশা করা যায় গ্রামে চোলাই তৈরীর মতো চোলাই ঠেকও বন্ধ হয়ে যাবে। না হলে সংসার বাঁচানো সম্ভব হবে না। কিন্তু সবসময় পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না। অভিযোগ জানালেও অধিকাংশ সময়ই পুলিশ কথায় গুরুত্ব দেয় না।

মহিলারা কোথায় চোলাইয়ের ঠেক চলে জানে তবে পুলিশ ধরতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে মহিলারা রুখে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পুলিশের কাছে রাতপাহারা দেওয়ার জন্য টর্চ ও লাঠি বহুবার চাওয়া হলেও কোনোরকম সহযোগীতা পাওয়া যায়নি।’’

কিন্তু পুলিশ এবং আবগারি দপ্তরের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়, ‘‘নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়। আর আগামী দিনে আরো বেশী বেশী নজরদারি চালানো হবে। তবে ঠেক খুঁজে বের করতে মহিলাদের ভূমিকা প্রশংসার যোগ্য।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031