ব্যস্ত সময়ে নিষিদ্ধ করা হলো টোটো চলাচল
রাজ খানঃ বর্ধমানঃ এবার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ধমান শহরে টোটোয় লুকিং গ্লাস লাগানো বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ জারি করা হলো। সেই সাথে বর্ধমান শহরের জিটি রোডে দিনের ব্যস্ততম সময় টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে মাইকে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়ানো ও যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই টোটোয় লুকিং গ্লাস লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চলাচল করে। বেশীরভাগ সময়ই টোটোগুলি বেপরোয়াভাবে ছুটে বেড়ায় বলে অভিযোগ। ফলে টোটোয় বসে থাকা যাত্রীরা তো বটেই পথচলতি মানুষও দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে যান। লুকিং গ্লাস না থাকার কারণে চালকের দেখার ক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যা তৈরী হয়। এই দুর্ঘটনা এড়াতেই সব টোটোতে লুকিং গ্লাস লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই নির্দেশ পালন না হলে সংশ্লিষ্ট টোটোর বিরুদ্ধে পুলিশী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
করোনার সংক্রমণ রুখতে বিধি নিষেধ অনেকটা শিথিল হতেই বর্ধমান শহরে টোটোর দাপট বাড়তে শুরু করেছে। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শহরের লাইফ লাইন জিটি রোডে টোটো উঠে পড়ছে। এর জেরে একাধারে যানজট এবং অন্যদিকে দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে পুরসভা, বর্ধমান থানার পুলিশ সহ ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যানজট ও দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৭ টা থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত জিটি রোডে টোটো চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি টোটোয় লুকিং গ্লাস লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
টোটো চালকরাও লুকিং গ্লাস লাগানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। কিন্তু জিটি রোডে টোটো ওঠা নিষিদ্ধ ঘোষণা সম্পর্কে একজন টোটো চালক জানিয়েছেন, “এখন এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। শহরের মূল রাস্তা জি টি রোড। এর ফলে যাত্রীদের অনেকেই ওই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে চান। সেই জিটি রোড ব্যবহার করা না গেলে উপার্জন আরো কমে যাবে”।