নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ এবার শুধু ছাত্রী নয়। ছাত্রী সহ তার মাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বর্ধমানের রাজ কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বর্ধমান শহরের টাউনহল পাড়ায় ওই ছাত্রীর বাড়ি। আর বর্ধমান শহরের ইন্দ্রকানন এলাকায় রাজ কলেজের শিক্ষকের বাড়ি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রীর বাবা টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক। অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন রাজ কলেজের ওই শিক্ষক প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। প্রায়ই তিনি ছাত্রীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতেন। ছাত্রীটিও পড়াশুনার বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অধ্যাপকের কাছে জানতে চাইতেন। কিন্তু রবিবার রাতে তিনি ফোন করে পরেরদিন ছাত্রীর বাড়িতে আসবেন বলে জানান। সেইমতো সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেন। এরপর ছাত্রীর বাবা কিছুক্ষণ পর কলেজে চলে যান। তখন ওই শিক্ষক ছাত্রী ও তার মায়ের রক্তচাপ মাপবেন বলে জানান। সেইমতো রক্তচাপ মাপার নাম করে তিনি ছাত্রী এবং তার মায়ের শ্লীলতাহানি করেন। এমনকি তাদের অশালীন প্রশ্ন করেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে এও অভিযোগ জানানো হয় যে, গতকাল সকালে ওই ছাত্রী সহ তার মা-বাবা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওই কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে যান। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেইসময় ওই কলেজ শিক্ষক ছাত্রীকে মারধর করেন।
যদিও ওই শিক্ষক পাল্টা অভিযোগ এনে জানিয়েছেন যে, ছাত্রী সহ তার পরিবার তাদের বাড়িতে এসে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। এমনকি ওই ছাত্রীর বাবা তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেন।
এই দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৪ জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে আদালতে তোলে। ধৃতদের আইনজীবীরা আদালতে জানান, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। এরপরই সিজেএম ধৃত ৪ জনের বক্তব্য শোনেন। তবে দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ধৃতদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়।