নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ ঘন কুয়াশায় রেল পরিষেবায় যাতে কোনো সমস্যা না হয় এর জন্য ফগ পাস ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি বছরে ভারতীয় রেল মোট ১৯ হাজার ৪৭২টি ফগ পাস ব্যবহার করছে৷ বিশেষ করে উত্তর ও উত্তর পূর্ব রেলে এই ফগ পাস ডিভাইস ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
ঘন কুয়াশার দিনগুলোতে রেল চালক ট্রেন চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। একের পর এক ট্রেন দেরীতে চলে। ট্রেনের সময়সূচী ওলটপালট হয়ে যায়। আর স্টেশনগুলোতেও যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। তাই ঘন কুয়াশার মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুগম রাখতে রেল লোকোমেটিভগুলোতে ফগ ডিভাইস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর রেলের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় মোটামুটি ৬০ কিলোমিটার থেকে ৭৫ কিলোমিটার রাখা হবে।
আসলে ফগ পাস ডিভাইসের পুরোটাই বহনযোগ্য। এর সঙ্গে একটি অ্যালার্ম থাকে। পাঁচশো মিটার দূরে কিছু থাকলে এই ডিভাইসে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। দক্ষিণ পশ্চিম রেলে ৬০টি, ইস্টকোস্ট রেলে ৩৭৫টি, সেন্ট্রাল রেলে ৫৬০টি, উত্তর-পশ্চিম রেলে ৯৯২টি, দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেলে ৯৯৭টি, পশ্চিম মধ্য রেলে ১০৪৬টি, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে ১১০১টি, পূর্ব রেলে ১১০৩টি, দক্ষিণ মধ্য রেলে ১১২০টি, উত্তর-মধ্য রেলে ১২৮৯টি, উত্তর পূর্ব রেলে ১৭৬২টি, পূর্ব মধ্য রেলে ১৮৯১টি, দক্ষিণ পূর্ব রেলে ২৯৫৫টি ও উত্তর রেলে ৪৪৯১টি ফগ পাস ডিভাইস ব্যবহার হয়েছে।
কুয়াশার সময় ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে ডিটোনেটিং সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো ইঞ্জিন ওই লাইনের উপর দিয়ে গেলে শব্দ করে তা ফেটে যায়। এর জেরে অন্য চালক সতর্ক হয়ে যান। এছাড়া প্রচণ্ড কুয়াশা হলে লোকো পাইলটদের কাছে বিশেষ ধরণের ডিভাইস দেওয়ার ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কালো-হলুদ উজ্জ্বল স্ট্রিপ দিয়ে বোর্ডগুলিকে উল্লেখ করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। যাতে কুয়াশার সময়েও তা দেখতে পাওয়া যায়। এলইডি ফ্লাশার লাইট ট্রেনের পেছনে রাখার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। যাতে চালকরা যথাযথ বিশ্রাম পান সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমনকি গেটম্যানকে সতর্ক করার জন্য বাঁশির ব্যবহার করা হচ্ছে।