Indian Prime Time
True News only ....

যৌনতাকে টোপ দিয়ে স্বামীকে খুন করল স্ত্রী

- sponsored -

- sponsored -

ADVERTISMENT

ADVERTISMENT

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নাগপুরঃ স্বামীর বয়স ৬৫। আর তার চতুর্থতম স্ত্রী ৩০ এর দোরগোড়ায়। কিন্তু স্বামী লক্ষ্মণ মালিকের যৌন অত্যাচারে চতুর্থতম স্ত্রী স্বাতী মালিক অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ফলে ২০১৮ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যৌনতার পাশাপাশি স্বামীর আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার হুমকিও শুনতে হতো। তাই অবশেষে বাধ্য হয়ে স্বাতী মালিক তার স্বামী লক্ষ্মণ মালিককে হত্যা করলেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, ২০১১ সালে ESIC হাসপাতাল থেকে লক্ষ্মণবাবু অবসর নেন। এরপরে তিনি একটা রিয়েল এস্টেট এজেন্সি খুলেছিলেন। সেখানেই স্বাতী কাজ করতে আসেন। আর উভয়ের ঘনিষ্ঠতা বিয়েতে পরিণত হয়। তাদের একটি ৮ বছরের পুত্রসন্তানও আছে।

নাগপুর পুলিশের তরফ থেকে জানা যায়, ৮ ই মার্চ গণেশপেটের রজত সঙ্কুল কমপ্লেক্সের ফ্ল্যাট থেকে চেয়ারে বসানো অবস্থায় লক্ষ্মণবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার হাত একটি হাতকড়া দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। ও ঘাড়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। ফলে তার খুন হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত ছিল পুলিশ আধিকারিকরা।

- Sponsored -

- Sponsored -

কিন্তু পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের সময় চার স্ত্রী পরস্পরকে এবং তাদের সতীনের ছেলেদের এই কাজের জন্য দায়ী করে চলেছিলেন। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে স্বাতী ঘটনার দিন গোকুলপেট থেকে গণেশপেট পর্যন্ত ক্যাব বুক করেছিলেন। আর ওই দিন দুপুর ২ টো থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ ছিল। শেষমেশ পুলিশী জেরার মুখে নিজের সকল অপরাধ স্বীকার করে নেন স্বাতী।

স্বাতীর দাবী, “লক্ষ্মণবাবু তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেননি। তিনি লক্ষ্মণবাবুর পেনশনের টাকা নিতেন। আর এই সুযোগে মাঝেমধ্যেই তার প্রাক্তন স্বামী তার কাছ থেকে যৌন সুবিধা আদায় করতেন। পরের দিকে স্বাতী এসবে রাজি না হওয়ায় লক্ষ্মণবাবু তাকে নিজের অ্যাকাউন্টের এ টি এম কার্ড ফেরত দিতে বলেন ও আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দেন।

এছাড়া স্বাতী পুলিশকে আরো জানিয়েছেন যে, “ঘটনার দিন তিনি লক্ষ্মণের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে পর্নোগ্রাফির সাহায্যে প্রাক্তন স্বামীকে প্রলোভিত করে তোলেন। এরপর তার সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হাতকড়া দিয়ে তিনি লক্ষ্মণবাবুকে চেয়ারের সঙ্গে পিছমোড়া করে তার হাত বেঁধে দেন। তারপরেই রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে লক্ষ্মণবাবুর ঘাড়ে ক্রমাগত ছুরির আঘাত করেন। আর তার মৃত্যু হলে তিনি ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored

- Sponsored