মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ মেয়ে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার সময় বিক্রি হয়ে যায়। তাই মা মেয়েকে উদ্ধার করতে আসেন। বেআইনীভাবে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। এমত পরিস্থিতিতে উত্তর চব্বিশ পরগনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে দু’জনেই গ্রেপ্তার হন।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, মা-মেয়ে দু’জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। গতকাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের গোয়েন্দা শাখা ৯৯ ব্যাটেলিয়ান সীমান্ত চৌকি জিতপুর এলাকা দিয়ে কিছু লোকের অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের খবর পায়। এরপর দুপুর নাগাদ জওয়ানরা পাট ক্ষেতে দুই থেকে তিন জনের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে। জওয়ানরা পাট ক্ষেত ঘেরাও করে তল্লাশির সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকি জিতপুরে আনা হয়।
কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, “মা-বাবা কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করেছিল। আবার তাকে দু’জন গ্রামবাসী ভারতে পার্লারে কাজের প্রতিশ্রুতিও দেন। তখন কিশোরী একজন গ্রামবাসীর সাথে বিয়ে এড়াতে ঘর থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসে। এরপর কিশোরীকে ওই গ্রামবাসী বসিরহাট নিবাসী মহম্মদ আলি নামে এক দালালের কাছে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিলে তাকে সেখান থেকে উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ায় পাঠিয়ে দেহ ব্যবসায় নামায়।

- Sponsored -
তারপর মিঠুন নামে একটি ছেলে কিশোরীর কাছে আসত। সে কিশোরীর দুঃখের কথা শুনে বাংলাদেশে তার মায়ের কাছে পুরো ঘটনাটি ফোনে বলে। মেয়ের অবস্থা জানতে পেরে মা সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েকে ফিরিয়ে আনবে”।
আলিমার মা জানায় যে, “১৬ ই জানুয়ারী থেকে মেয়ে নিখোঁজ ছিল। মিঠুন নামে এক যুবকের ফোন পেয়ে অবৈধভাবে ভারতে এসে পাঞ্জিপাড়ার গ্রাম প্রধানের সহায়তায় মেয়েকে দালালের হাত থেকে উদ্ধার করে দু’জনেই বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছিলেন। তখন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে”।
বিএসএফ মানবিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ওই দু’জন মহিলাকে বাংলাদেশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৯৯ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার শ্রী রবি কান্ত জানিয়েছেন, “সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং মানব পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে”।