নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ প্রথমে অণ্ডাল-কালিপাহাড়ি-আনারা-পুরুলিয়া রুটে বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এবার লাভজনক রুট চিন্তা করেই হাওড়া থেকে রাঁচী শতাব্দী রুটেই বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেন হাওড়া থেকে দুর্গাপুর, রাণীগঞ্জ, আসানসোল, ধানবাদ, চন্দ্রপুরা জংশন, বোকারো ও মুরি হয়ে রাঁচি যাবে। সেলফ প্রপেলড ইঞ্জিনের এই ট্রেন শতাব্দীর পথে গেলে লাভজনক হবে বলে মনে করা হয়েছে।
সকালে হাওড়া থেকে ছাড়বে আবার রাতে হাওড়া ফিরে আসবে। বন্দেভারত এক্সপ্রেস পূর্ব রেল থেকে দক্ষিণ পূর্ব রেল যে পথ ধরে ছুটে চলবে সেখানে ১৯৯.৩ কিলোমিটার থেকে ২০৪.৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলতে পারে। কিন্তু নিয়ম অনুসারে সাধারণত রেলের গতি ১১০ কিলোমিটার থেকে ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে। আর হাওড়া থেকে দুর্গাপুর অবধি ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলবে।
দুর্গাপুর থেকে ধানবাদে ৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলবে। সাধারণত বন্দেভারত এক্সপ্রেসে একাধিক স্টপেজ না থাকায় হাওড়া থেকে রাঁচি বন্দেভারত বা TRAIN 18 এক্সপ্রেস ছুটলেও কটা স্টেশন দেওয়া হবে বা কত মিনিটের স্টপেজে গ্যাপ দেওয়া হবে এখনো সেই বিষয়ে কোনোরকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, “হাওড়া-রাঁচি অত্যন্ত লাভজনক রুট। যাত্রী পাওয়া যাবে। যেহেতু শিল্পাঞ্চলের একটা অংশ সংযোগ করা যাবে তাই যাত্রী পেতে কোনোরকম ভাবেই অসুবিধা হবে না। বিশেষ করে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ এবং সিগন্যাল ব্যবস্থা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেমি হাইস্পিড ট্রেন হওয়ার জন্য সেফটি খুব গুরুত্বপূর্ণ”।
এর পাশাপাশি প্রিমিয়াম ট্রেন হওয়ার জন্যে ভাড়া অনেকটাই পড়বে। ইতিমধ্যেই ৫৬ রেক প্রস্তুত করা হয়েছে। তা থেকেই ট্রেন সেট হাওড়ায় আসবে। তাই সব মিলিয়ে দেশের সবচেয়ে দ্রুত গতির এই ট্রেন হাওড়া-রাঁচি শতাব্দী রুটেই ছুটে চলবে।