অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সমস্ত জল্পনা সত্যি করে অবশেষে আজ বিজেপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রিউয়ালের নাম ঘোষণা হল। শাসকদলের প্রধান বিরোধী পক্ষ বিজেপিকে বারবার নাম ঘোষণা করতে না পারায় শাসকদলের কাছে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য যে, আগেই শোনা গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে হয়তো কোনো মহিলা প্রার্থী করা হতে পারে সে ক্ষেত্রে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রিউয়ালের নাম উঠে এসেছিল কারণ ভবানীপুর কেন্দ্রে অনেক অবাঙালী ভোটার আছেন। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাস ও সামশেরগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী মিলন ঘোষের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
ভবানীপুরের আসন্ন উপনির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসাবে ব্যারাকপুরের দাপুটে সাংসদ অর্জুন সিংকে নিযুক্ত করা হয়েছে। অর্জুন সিংয়ের সহকারী হিসাবে সৌমিত্র খাঁ এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মূলত বিজেপি এই তিন জন সাংসদের উপর ভর করেই ভবানীপুরে ভালো ফলের আশায় আছে। বিজেপি নেতৃত্ব ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আটটি ওয়ার্ডের জন্য আট জন বিধায়ককে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বাবুল সুপ্রিয়র আইনী পরামর্শদাতা প্রিয়াঙ্কা টিব্রিউয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি যুব মোর্চার গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বেও ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি থেকে প্রার্থী করা হলেও সেখানে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী স্বর্ণকমল সাহার কাছে হেরে যান।
পেশায় আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রিউয়াল ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ইস্যুতে লাগাতার বিজেপির হয়ে আইনী লড়াই করেছেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফিরিয়ে আনতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। মানবাধিকার কমিশন সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।