নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মালদার মোথাবাড়িতে ঢোকার আগে পুলিশী বাধার সম্মুখীন হন। তবে মোথাবাড়িতে আসার আগে হুঙ্কারের সুরে বলেছিলেন, “আমরা বাধা পেলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করব। হিন্দু সমাজের লোকজন সবাই তৃণমূলের পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।” আর ১৪৪ ধারা থাকার পরেও তৃণমূলের লোকজন, বিধায়ক ওই এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিভাবে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর জল্পনা অনুযায়ী সুকান্ত মজুমদার মোথাবাড়িতে প্রবেশের প্রায় দশ কিলোমিটার আগে তাঁকে পুলিশ বাঁশের ব্যারিকেড আটকে দিলেন। এরপর বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন।
তবে পুলিশ যে ব্যারিকেড করেছে মোথাবাড়িতে তা ভাঙা কোনো ব্যাপারই নয়, এদিন সুকান্ত মজুমদার সে কথাও জানান। কিন্তু এখন ‘ওয়ার্ম আপ’ চলছে। আর ক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্ত করতে ওই ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে ধৈর্য ধরার কথা বলতে গিয়ে বলেন, “আজ আমাদের আটকে দিয়েছে। তাতে হয়তো সাময়িকভাবে আমাদের লড়াই শেষ হচ্ছে। আমরা দু’মিনিট পেলে এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারতাম। তবে এখন ম্যাচের আগে প্রাকটিস ম্যাচ হচ্ছে। যদি ভাঙতে হয়, তাহলে নবান্নের সামনের ব্যারিকেড ভাঙব। ওতে মজা আলাদা।”
এরপর সুকান্ত মজুমদার রাস্তা থেকেই মাইক হাতে তৃণমূল-পুলিশ প্রশাসনের তুলোধনা করে জানালেন, “জেলে যেতে হলে জেলে যাব। আমার যুব মোর্চার ভাইদের কাছে অনুরোধ করে যাচ্ছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলে তাঁকে জয় শ্রী রাম স্লোগান স্বাগত জানাবেন। উনি পশ্চিমবঙ্গের যেখানে যাবেন সেখানে আমরা জয় শ্রীরাম বলব।” আর পুলিশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, “পুলিশকে বলছি আপনারা হিন্দুদের সুরক্ষিত করুন।” পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বললেন, “রাজীব কুমার আমার ভাষণ টিভিতে দেখছেন। ওনাকে বলে দিতে চাই বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। আপনাকেও জেলে যেতে হবে আপনার সময় এসে গিয়েছে।”
পাশাপাশি এদিন মোথাবাড়িতে গিয়ে রাম নবমীর প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাম নবমী কিভাবে হয় তা কর্মীদের মনে করিয়ে ‘আর একটু অপেক্ষা’ করার কথা বলে জানিয়েছেন, “উত্তরপ্রদেশে যোগী বাবার সরকার আছে। যখন ওখানে রাম নবমীর মিছিল হয় তখন মুসলিমরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফুল ছেটায়, সরবত খাওয়ায়। অপেক্ষা করুন ছাব্বিশ অবধি। সেই রাম দৃশ্য আপনারাও দেখতে পাবেন। আপনারা রাম নবমীর মিছিল করবেন, আর মুসলিম ভাইয়েরা পাশে দাঁড়িয়ে সরবত খাওয়াবেন।”