নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়িঃ আজ শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাসের ধারে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে পুরো এলাকা ছারখার হয়ে যায়। আশেপাশের এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আগুন লাগার পরপরই এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, প্রথমে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। আর এর কিছুক্ষণ পর মুহূর্তের মধ্যেই মধ্যেই তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে একদিকে যেমন আস্ত কারখানা জ্বলে ওঠে। তেমন অপরদিকে আগুনের লেলিহান শিখায় একের পর এক বাড়ি গ্রাস হতে থাকে। ফলে তড়িঘড়ি দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হলেও দমকল কর্মীরা খবর পেয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক পর ঘটনাস্থলে দু’টি ইঞ্জিন নিয়ে আসে। যার কারণে এলাকাবাসীরা দমকল বাহিনীর উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন। কিন্তু পরিস্থিতি সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে পরে দমকল কর্মীরা আরো চারটি ইঞ্জিন নিয়ে আসে।

- Sponsored -
এছাড়াও, সংকীর্ণ রাস্তা ও পর্যাপ্ত জল না থাকায় আগুন নেভানোর কাজে ব্যাঘাত ঘটে। পরে শিলিগুড়ি পৌর নিগমের সহযোগীতায় দু’টি জেসিবি মেশিন এনে প্লাস্টিকের স্তূপ সরানোর কাজ শুরু হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়। কিন্তু আগুন লাগলো ঠিক কিভাবে? সেই নিয়ে দমকল আধিকারিকরা কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। যদিও প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, কোনো ভাবে শট সার্কিটের জেরেই ঘটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর কারখানার ভিতরে মজুত থাকা প্লাস্টিক সেই দুর্ঘটনাকে আরো ভয়ানক রূপ দিয়েছে।
শিলিগুড়ি ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে এসে জানান, ‘‘আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসি। দমকল কর্মীরা ও স্থানীয়রা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই গোডাউনে এত পরিমাণ প্লাস্টিকের বর্জ্য মজুত ছিল কিভাবে তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি, এখানে যথাযথ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’’ এদিকে পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই গোডাউন মালিক পলাতক বলে জানা গিয়েছে।