Indian Prime Time
True News only ....

অবশেষে সায়ন্তিকাকে প্রার্থী করেli অভিমানে প্রলেপ দিল তৃণমূল

- Sponsored -

- Sponsored -

ADVERTISMENT

ADVERTISMENT

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার প্রার্থী হতে না পেরে কিছুটা অভিমানী হয়ে উঠেছিল। তবে দল সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক রাশ অভিমানে প্রলেপ দিতে বাঁকুড়া লোকসভার পরিবর্তে তাঁকে বরাহনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করল। মূলত বিধায়ক পদ থেকে তাপস রায়ের ইস্তফার কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। আগামী ১ লা জুন ওই আসনে ভোটগ্রহণ। পাশাপাশি ইদ্রিস আলির মৃত্যুতে বিধায়কশূন্য ভগবানগোলাতে রেয়াত হোসেন সরকারকে উপনির্বাচনের প্রার্থী করা হয়েছে।

অনেকেই বলছেন, ‘নাকের বদলে নরুন’ এর মতো শোনালেও এই প্রাপ্তিতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুশী হওয়া উচিত। আর যদি বরাহনগরে জয়ী বিধায়ক হতে পারেন, তা হলে তো পরিষদীয় রাজনীতিতে যাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি বরাহনগর কেন্দ্রে সজল ঘোষকে প্রার্থী করেছে। তিনি সেই সজল ঘোষের বিরুদ্ধেই নির্বাচনে দাঁড়াবে। এদিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণার আগেই অবশ্য বরাহনগরে রটে গিয়েছিল, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হচ্ছে।

যা নিয়ে স্থানীয় স্তরে তৃণমূলের একটি অংশ হালকা ক্ষোভ প্রকাশও করে। সিঁথি, টবিন রোড, আলমবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়ে, ‘আমরা রাজনৈতিক প্রার্থী চাই।’ বরাহনগরের এক জন তৃণমূল নেতা এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘২০২১ সালে এখানে বিজেপি পার্নো মিত্রকে প্রার্থী করেছিল। তখন আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছিলাম, সেলিব্রিটিকে ভোট দিলে তাঁকে আর পাওয়া যাবে না। এখন আমরা গিয়ে কী বলব? লোকে তো আমাদেরই সেই কথাগুলো বলবে!’’

- Sponsored -

- Sponsored -

প্রসঙ্গত, গত ১০ ই মার্চ তৃণমূল ব্রিগেডের সভা থেকে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিল। বাঁকুড়ায় প্রার্থী হিসেবে অরূপ চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর সভা শেষের আগেই সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কানে ফোন নিয়ে মূল মঞ্চের সিঁড়ি দিয়ে নেমে ব্রিগেড ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মান-অভিমানের জল্পনা চলছিল।

পরে অবশ্য তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘ব্রিগেডের রোদে শরীর খারাপ লাগায় সেদিন মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁকুড়া লোকসভায় মনোনয়ন না পেয়ে অভিমান হয়েছিল। আর বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসনের জন্যই পরিশ্রম করেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। তবে দলের সাথে নিয়ত যোগাযোগ থাকে। আর দল ছাড়ার কথা ভাবেননি।’’ যদিও শেষমেশ বরাহনগরের প্রার্থী হয়ে মান-অভিমান দূর হয়েছে।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored

- Sponsored